নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালে পর্যটন শিল্পের বিকাশে দর্শনীয় ও ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহ পরিদর্শনের কার্যক্রম শুরু করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্যুরিস্ট বিভাগ। জনসাধারণের মাঝে পর্যটন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং দর্শনীয় স্থানসমূহ রক্ষণা-বেক্ষণে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটক-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের এই সমসাময়িক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নগরবাসীও। আর বিষয়টি বিএমপির চলমান কার্যক্রমের অংশ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন ক্ষেত্রে বরাবরই অবহেলিত বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চল। সমন্বয়হীনতা এবং নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে পিছিয়ে পড়েছিল বৃহত্তর বরিশাল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের আওতায় বরিশালের পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করছে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ^বিদ্যালয়, সেনানিবাস, নার্সিং ইন্সটিটিউট, আইএইচটির মতো প্রতিষ্ঠান। এছাড়া রেললাইন, মেরিন একাডেমি এবং শ্রম আদালত স্থাপনেরও কাজ চলছে। শিক্ষামন্ত্রণালয় ডিডিসি, ডিএসসিসহ একাধিক সংস্থা এই উন্নয়নে অংশীদারিত্বের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নগরীতে নির্মিত হচ্ছে পর্যটন মোটেল ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। এছাড়া দুর্গাসাগর দীঘিকে ঘিরে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ করছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। তবে এবার বরিশালের মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা পর্যটন তালিকায় অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএমপির ট্যুরিস্ট বিভাগ। পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণের বিষয়টিও প্রাধান্য পেয়েছে। জানা গেছে, বরিশাল নগরীসহ জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় এবং দর্শনীয় স্থাপনায় আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারি নির্দেশনার অংশ হিসেবে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সহায়তায় পরিচালিত এই কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলতার মুখ দেখেছে। মূলত কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং এর আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর এর ফলে বরিশালের পর্যটনখাত আরও এগিয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এ বিষয়ে বিএমপির ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর বুলবুল জানান, বরিশালে ৮/১০ টি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে। ধর্মীয় উপাসনালয় ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য স্থাপনাসমূহও রয়েছে এই তালিকায়। এরমধ্যে বরিশাল মহানগরীর এবায়দুল্লাহ মসজিদ, আর্য্যলক্ষ্মী ভবন, ক্যাথলিক চার্চ, দোহা মসজিদ, অক্সফোর্ড মিশন চার্চ, শংকরমঠ, চারণকবি মুকুন্দ লাল সরকারের বাসভবন, ত্রিশ গোডাউনের বধ্যভূমি উল্লেখযোগ্য। তারা ধারাবাহিকভাবে স্থানগুলো পরিদর্শন করছেন। সরকার কর্তৃক গৃহীত এই কার্যক্রমে পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে উল্লেখ করেছেন এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply